ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সোহেল মাহমুদ শিগগিরই নয়া দিল্লিতে ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই। ভারতে কূটনীতিকরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন; অভিযোগ এনে ইসলামাবাদ কূটনীতিককে ডেকে পাঠিয়ে ছিল। এ সম্পর্কে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখ্যপাত্র ডা: মুহাম্মদ ফয়সার বলেছিলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরামর্শ করার জন্য নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শিগগিরই তাকে আমার পাঠানো হবে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে অন্য কথা।
নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার উদৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লিতে সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ার পর্যন্ত হাইকমিশনার মাহমুদ সহ কূটনীতিকদের পরিবার বর্গকে সেখানে পাঠানো হবে না।
এর আগে মাহমুদকে পাকিস্তানে ডেকে পাঠানোর পর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের কাছে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমাদের হাইকমিশনারকে শিগগিরই ভারতে পাঠানো হচ্ছে না। ’
নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে সম্প্রতি পাকিস্তানি কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহেই দূতাবাসের এক কাউন্সিলরের সন্তানকে বহনকারী একটি গাড়িকে ধাওয়া করে অজ্ঞাত ভারতীয়রা।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে এ ঘটনা চলে এবং হয়রানির ভিডিও ধারণ করে। এতে ওই শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ অভিযোগের ব্যাপারে প্রমাণ দেয়ার পরও ভারত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটিতে নিযুক্ত নয়াদিল্লির দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। ইসলামবাদ বলছে, কূটনীতিকদের হয়রানির ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য-উপাত্ত দেয়া হলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখ্যপাত্র ফয়সাল বলেন, ‘কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছাকৃত এ হয়রানির ঘটনা থেমে নেই। পাকিস্তানের প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া ছাড়াই অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি।
তিনি বলেন, বিদেশে নিযুক্ত পাক কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে পাকিস্তান।
‘আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। এ ব্যাপারে যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান।’
এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ইস্যুতে ‘পাকিস্তান কার্ড’ খেলার বিরুদ্ধে নয়াদিল্লিকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।