দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভারতের খোলা বাজার থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ১৬২ মেগাওয়াট একটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কুমিল্লায় দুটি ব্রিজ নির্মাণসহ মোট ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এরআগেও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে আমদানির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ আরো ছয়মাস বাড়ানোর একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা ৯৮৫৯ পয়সা।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে এ বিদ্যুৎ আমাদনিতে ছয় মাসে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৬১৬ কোটি টাকা। দেশের চাহিদা মেটাতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। তিন বছর মেয়াদে পিটিসির সাথে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ গত ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অনুমোদনক্রমে আলোচ্য চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে ৩ বার বৃদ্ধি করা হয়। যার মেয়াদ গত ৩১ জানুয়ারি উত্তীর্ণ হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি শেষ হবার পর তা অব্যাহত রাখার জন্য গত ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর সংশোধিত পিপিএ এর মেয়াদ ১১ মাস অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরে ১৬২ মেগাওয়ায়াট ক্ষমতার ডুয়েল-ফুয়েল ভিত্তিক আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চায়না কোম্পানি কনসোর্টিয়াম অব চ্যাংজু হু টাং কোল পাওয়ার লিলিমিটেড এবং দেশীয় কোম্পানি বাংলাদেশ অ্যান্ড চেস পাওয়ার লিমিটেড এ কেন্দ্র স্থাপন করবে। ১৫ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরকার ৮ টাকা ২৮৬৮ পয়সায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে।