রাতুল মন্ডল শ্রীপুর, শ্রীপুর (গাজীপুর) : নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলী ছেলে এফএইচ প্রিয়ক তার এমাত্র নাতনী তামারা প্রিয়নময়ী (০৩) ও পুত্রবধু এ্যামেলী (২২)।
নিহত প্রিয়কের চাচাত ভাই লুৎফর রহমান জানান, আমার চাচা মারা গিয়েছে আট দশ বছর আগে। একটি মাত্র ছেলে ছিল প্রিয়ক। সেও চলে গেল না ফেরার দেশে। চাচিকে দেখার আর কেউ রইল না।
এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যম ও পরিজনদের কাছ থেকে জানতে পেয়ে কাল (সোমবার) রাত থেকে কান্না থামছে না বৃদ্ধা ফিরোজা আক্তারের। বার বার অসচেতন হয়ে পড়ছেন। মাথায় ঢালা হচ্ছে পানি। এই পরিবারটিকে দু’চোখে দেখার জন্য উচ্ছোক জনতা এলাকার শত শত মানুষ ভির জমাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের মনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে সোহানুর রহমান সোহাগ আজ (মঙ্গলবার) সকালের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নেপালে পৌঁছে ফেসবুকের ম্যাসেজেনজারে কথা বলে নিহত প্রিয়কের চাচাতো ভাই মো.লুৎফর রহমানের সাথে। তিনি জানান, সোহান ইউএস বাংলার প্রতিনিধিদের সাথে প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন নিহত প্রিয়কের স্ত্রী এ্যালিন ও মামতো ভাই মেহেদী হাসান মাসুম তাঁর স্ত্রী স্বর্ণাকে দেখেন। পরে প্রিয়ক ও তার মেয়ে তামারা প্রিয়সময়ী মরদেহ দেখিয়েছেন তাদের। কিন্তু কখন মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারেনি।
এর আগে (সোমবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহত প্রিয়কের বাড়িতে আসেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনা আকতার। তাঁর সাথে ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.সোহেল রানা। এসময় প্রিয়কের মাকে শান্তনা দেয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় নেপালে বাংলাদেশের দুতাবাসের কর্মকর্তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। যে কোন তথ্য পাওয়া গেলে এই পরিবারকে তাৎক্ষণিক জানানো হবে।