ফেনীর আলোচিত ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেলসহ ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অপরদিকে খালাস পেয়েছেন এ মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মিনারসহ ১৬ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনীর বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের ব্যানারে শতশত দলীয় লোকজন সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়। তারা ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে আদালত সম্মুখস্ত সড়কে মানববন্ধন করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল, পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জিয়াউল আলম মিষ্টার সহ ৩৬ আসামি কারাবন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মিনার ছাড়া অন্যরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। চার্জশীটভুক্ত ৫৬ আসামির মধ্যে ইতিমধ্যে রুটি সোহেল নামের এক যুবলীগ কর্মী র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়। অন্যদের ৯ জন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। অপরদিকে মামলাটির ১০ আসামি এখন পর্যন্ত অধরা।