কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী বসন্ত বোহরা বলেছেন, সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। সোমবার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী হতাহত হয়েছে বলে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে।
বসন্ত বোহরা এবং আরো ১৫ জন নেপালি আরোহী ছিলেন বিমানটিতে। তারা রাস্তবিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর পক্ষ থেকে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে।
বসন্ত বলেন, ঢাকা থেকে বিমানটি উড্ডয়নের সময় সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি অদ্ভূত আচরণ করছিল।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিমানটি প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দেয়। তারপরই হয় প্রচণ্ড শব্দ। আমার আসনটি ছিল বিমানের কাছে। আমি জানালা ভেঙে বের হতে পেরেছিলাম।
তিনি এখন থাপাথালিভিত্তিক নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্ত
বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আজ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে (টিআইএ) বিধ্বস্ত হয়েছে। কাঠমান্ডু পোস্ট এ খবর জানায়।
ইউএস -বাংলা জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং সাপোর্ট এন্ড পিআর) কামরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দুঘর্টনার কয়েক মিনিট পরেই বাসসকে জানান, আমরা কাঠমান্ডু টিআইএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
নেপালের একটি অনলাইন পত্রিকা বিমান বন্দর মুখপাত্র প্রিম নাথ ঠাকুরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণ করার সময় বিমান বন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এস২-এজিইউ নামের এ বিমানটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে টিআইএ অবতরণ করে।
বিধ্বস্ত হবার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানবন্দরের উদ্ধারকারী দল এবং নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন। বিমানের যাত্রীদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।