খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর

Slider রাজনীতি

296575_17

 

 

 

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট অফিসকে এ সময়ের মধ্যে আপিল আবেদনের পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন। পরে গতকালই দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে পুলিশ পাহারায় বড় একটি ট্রাংকে করে মামলার নথি হাইকোর্টে আসে।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশের দিন ধার্য থাকায় গতকাল সকালে কয়েক শ’ আইনজীবী, বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা আদালতে উপস্থিত হন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে আদালতে ছিলেন মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতাই রায় চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল, আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল, নওশাদ জমির, জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পে খুরশীদ আলম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি হাইকোর্টে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে পৌঁছেছে। গতকাল দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে বড় একটি ট্রাংকে করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। পাঁচ হাজার ৩৭৩ পৃষ্ঠার নথি পুলিশ পাহারায় হাইকোর্টে আসে। হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার কর্মকর্তারা নথি গ্রহণ করেন। সেখান থেকে মামলার নথি ফৌজদারি আপিল বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে এনে বলেছিলেন, বিচারিক আদালত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নথি আসার কথা, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে। তারা জামিনের আদেশ দেয়ার আবেদন জানান। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন আদালত রোববার জামিন আবেদনের আদেশের জন্য কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের নথি পৌঁছার পর জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

এ ছাড়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের নথি পৌঁছার পর জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন। এ ছাড়া এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া মামলায় অন্য চার আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিসুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া আসামিদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *