নিহত স্বামীর নাম দেলোয়ার হোসেন মণ্ডল ওরফে দেলবার (৫৫) এবং স্ত্রীর নাম ঝর্না বেগম (৫০)।
প্রতিবেশী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ঝর্না-দেলোয়ার দম্পতির পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঝর্না প্রায় বছর তিনেক দুবাই ছিলেন। তিন-চার মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। বরিশালে এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেন। কিন্তু এতে আপত্তি ছিল তাঁর স্বামী দেলোয়ারের। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। আজ সকালে তাঁদের ছোট মেয়ে রাবেয়া বাবা মায়ের শোয়ার ঘর বন্ধ পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় টিনের ছিদ্র দিয়ে উঁকি দেয় সে। এ সময় মাকে বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) ফজলুল করিম বলেন, ওই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার পর দেলোয়ার আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের তথ্য অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।