প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে প্রতিপক্ষের ভয়ে ঘরছাড়া হলেন আমানুর রহমান

Slider লাইফস্টাইল

image-40506-1520525872

 

 

 

 

 

 

গাজীপুর প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে গরীব ও অসহায়দের জন্য বরাদ্দকৃত কিছু বাড়ি বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আর ক্ষতিগ্রস্থ  এক গরীব লোক আমানুর রহমান সরকারের নিকট লিখিত অভিযোগ করায় মারধর ও হুমকির শিকার হয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

আজ রোববার তিনি গণমাধ্যমকে ওই তথ্য জানান। আমানুর রহমানের বক্তব্য থেকে জানা যায়,  বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে  প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগের বিবাদী বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈরে বাড়ির কাছে কাশেম কাউন্সিলর দল বল নিয়ে আমানুরের পথরোধ করে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়। এক সময় সাদা কাগজে সই নিতে চেষ্টা করে কিন্তু পারেনি। পরে চর থাপ্পর মেরে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় প্রতিপক্ষ। ফলে বিবাদীর ভয়ে এখন ঘরছাড়া হয়েছেন বাদী আমানুর রহমান।

এই অবস্থায় নিরাপত্তা আতঙ্কে পড়ে নানা জায়গায় রাত্রিযাপন করছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের প্রাপ্য অধিকার দাবি করে অভিযোগ করা হতদরিদ্র আমানুর রহমান।

প্রসঙ্গত: প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে গরীব ও অসহায়দের জন্য বরাদ্দকৃত কিছু বাড়ি বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আর ক্ষতিগ্রস্থ  এক গরীব লোক আমানুর রহমান সরকারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়া  প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো একটি আবেদনপত্রের অনুলিপি থেকে ওই তথ্য জানা যায়।  কালিয়াকৈরের কালামপুর বাড়ইপাড়া এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে মো. আমিনুর রহমান ওই আবেদনপত্র প্রেরণ করেন।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে দুস্থ ও অসহায় লোকদের জন্য টয়লেটসহ কিছু ঘরের বরাদ্দ পায় কালিয়াকৈর পৌরসভা। এরমধ্যে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং একই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও মৃত উসমান গণির ছেলে মো. আবুল কাশেম ২০টি ঘরের বরাদ্দ পায়। সে অনুযায়ী বিনা খরচে ঘর দিবে জানিয়ে আমানুর রহমানের নাম তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে আমিনুর রহমান ঘর পাবে না বলে কাউন্সিলর জানালে ভুক্তভোগী পৌরসভায় গিয়ে তার নাম তালিকাভুক্ত দেখতে পান। বিষয়টি কাউন্সিলরকে জানালে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এতে তিনি রাজি না হলে ঘর অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে দেন ওই কাউন্সিলর। এছাড়াও বাকী ঘরগুলো বিভিন্নজনের কাছে ৭/৮ হাজার টাকা করে বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাত করেন কাউন্সিলর। পরে একাধিকবার কাউন্সিলরের কাছে ঘর দাবি করলে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো ছাড়াও মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আবেদনপত্রে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তালিকাভুক্তদের ঘর ফিরিয়ে দিয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে দুর্নীতির দায়ে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করেন।

আবেদনপত্রের অনুলিপি জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, দুর্নীতি দমন কমিশন, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র ও গাজীপুর প্রেসক্লাব বরাবর পাঠানো হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *