শেষ পর্যন্ত সংশয় কাটিয়ে টস হলো। ভেজা কন্ডিশন বলেই হয়তো টস জিতে বোলিং বেছে নিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। যদিও তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ৬ উইকেটে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২১৪ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ কোনো দলের।
এত রান তাড়া করে টি-টোয়েন্টিতে জেতার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আসলে ১৬৪ রানের বেশি লক্ষ্য কখনো সফলভাবে পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। রেকর্ড রান তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার, সেটাই এনে দিয়েছেন লিটন ও তামিম। ৫.৫ ওভারে ওভারে ১ উইকেটে ৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। ১৯ বলে ৪৩ করে মাত্রই ফিরলেন লিটন। ওভারে দশের বেশি রান চাই এমন ম্যাচে বাংলাদেশ ওভারে ১২-এর ওপরে রান তুলে এগোচ্ছে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ ১৪ টি-টোয়েন্টির ১৩টিতেই হেরেছে। সর্বশেষ জয়টা এ মাঠে। পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে এটাই হতে পারে বাংলাদেশের প্রেরণা। যদিও বাংলাদেশের বোলিং খুব একটা আশা জাগাল না। ব্যাটসম্যানদের ওপরও ভরসা করা কি? শুরুটা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো হলো। এমন ঝোড়ো শুরু বাংলাদেশের! শ্রীলঙ্কার রান বন্যার জবাবের শুরুটা হলো দারুণ।
বাংলাদেশকে রানবৃষ্টিতে ভাসিয়ে দেওয়ার পূর্বাভাস ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। মোস্তাফিজ উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলেন গুনাথিলাকাকে বোল্ড করে। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে শ্রীলঙ্কা যোগ করে ৮৫ রান।
কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে নিজের ভুলে যাওয়া বোলার পরিচয়টার কথা যেন মনে পড়ে যায় মাহমুদউল্লাহর। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে এক ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন অধিনায়ক। কুশল মেন্ডিসকে (৩০ বলে ৫৭) ক্যাচ বানিয়েছেন সাব্বিরের। দুই বলের মধ্যে আবারও সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়েছেন শানাকাকে। পরের ওভারে সাব্বিরের আরেকটি ক্যাচ। দিনেশ চান্ডিমালের উইকেটটা তাসকিনের নামে লেখা হলেও পুরো কৃতিত্ব সাব্বিরের। দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন।
সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে যায় ভালোমতোই। একসময় তো মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড হয়তো হয়ে যাবে। তা না হলেও স্কোরটা যথেষ্ট কঠিন। শুরুটাই আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।