ঢাকা: বরিশালের চরমোনাই লঞ্চঘাট এলাকায় মুসল্লিবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনার দুদিন পর ৬ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে চরমোনাই ইউনিয়ন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- গাজীরপুর এলাকার আমান উল্লার ছেলে শাহাব আলী (২৮), আদুল মালেকের ছেলে ইফতেখার (৯), হেদায়েত খানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২২), গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকার দিলদার আলী ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০), টঙ্গিবাড়ীর এলাকার খায়েরুদ্দিন ঢালীর ছেলে বাদশা ঢালী (৬৫), ময়মনসিংহ জেলার বাসন্দির জাকির হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮)। এরা দুইজনই ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ছিলেন এবং চরমোনাই মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো।
বুধবার দুপুরে ট্রলারটি বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার প্রান্ত থেকে কীতর্নখোলা নদী পাড়ি দিয়ে চরমোনাই লঞ্চঘাটে দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ঘাটে থাকা কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের পেছনে নোঙ্গর করে চরমোনাই মাহফিলগামী মুসল্লিদের তুলতে গিয়ে ট্রলারটি কাত হয়ে যায়। এসময় পেছনে থেকে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে ট্রলার ডুবে যায়।
ওইসময় স্থানীয়দের কাছ থেকে একজন নিঁখোজের খবর পাওয়া গেলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা নদীতে বিভিন্নভাবে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলেও নিঁখোজদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর গতকাল ওই একই স্থানে দুইটি মরদেহ ভেসে ওঠে।