আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আপনারা বললেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিই না। অথচ এমন কোনো কর্মসূচি নাই, যেখানে আপনারা বাধা দেননি। এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। এই প্রতারণা করে আপনারা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতায় যদি যেতে চান, তাহলে আপনাদের অবশ্যই সমস্ত রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। জনগণের সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মিথ্যা মামলা সবগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, যে নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি নিরপেক্ষ সরকার। তাহলেই আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, অন্যথায় ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সংবিধান কেটে-ছেঁটে সরকার নিজেদের উপযোগী করে তৈরি করেছে। চিরকাল ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা এটা করেছে।
১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল গঠন করেছিল। একদলীয় শাসন করেছিল চিরকাল ক্ষমতায় থাকার জন্য। আজও ভিন্ন পোশাকে চলছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার, জাগপার সভাপতি অধ্যাপক রেহানা প্রধান, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এম এ রকিব ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ।