আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তাঁর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়া বারবার জানতে চেয়াছেন, তিনি জেলে কেন? আমি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি, কোনো অনুমোদন দিইনি, কোনো চেক সই করিনি। আমি জেলে কেন?’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের কথার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাঁরা (আইনজীবীরা) ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছেন।
আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের সঙ্গে আইনগত বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক নেতারা আলোচনা করেছেন। আমরা দীর্ঘ এক মাস আইনজীবী হিসেবে তাঁর সঙ্গে কোনো আলাপ করতে পারিনি। আমরা অনুমতি নিয়ে দেখা করেছি। আপিল আবেদন থেকে শুরু করে, জামিনের বিষয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। ম্যাডাম জানতে চেয়েছেন যে জামিন আবেদনের কী হলো? সে বিষয়ে তাঁকে আমরা বলেছি।’
ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতের ওপর খালেদা জিয়া আস্থাশীল বলেও জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী রোববার আদালত জামিনের আদেশ দেবেন। দেশের মানুষ নিম্ন আদালতের ওপর আস্থাশীল না হলেও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল। তেমনি ম্যাডামও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল।
এর আগে আইনজীবীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন। অন্য তিন আইনজীবী হলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান ও সানাউল্লাহ মিয়া।