কারারুদ্ধ অবস্থায়ও তিনি দেশের জন্যই চিন্তা করছেন। মির্জা আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, আপনাদের মাধ্যমে (গণমাধ্যম) দেশবাসীকে জানানোর জন্য, তিনি সুস্থ আছেন। তিনি ভালো আছেন। তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করে এতটুকু বুঝতে পেরেছি, তার মনোবল অত্যন্ত উঁচু আছে। সত্যের পথে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি মনে করেন। আমরাও মনে করি সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। বেআইনিভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে তাকে আজকে কারান্তরীন করে রাখা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন কারচুপির মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন ছলচাতুরী করে তার কারাবাসকে দীর্ঘ করার চেষ্টা করছে। এর সবকিছুই দূরীভূত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মির্জা আলমগীর বলেন, আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে রাজনৈতিক সংগ্রাম, সে সংগ্রামও চলছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবার সংগ্রাম।
দলের নেতাদের প্রতি কোন নির্দেশনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন যে, চেয়ারপারসন কারান্তরীন হওয়ার পর থেকে আমরা একটি যৌথ নেতৃত্বে আমাদের দল পরিচালনা করছি। আন্দোলন পরিচালনা করছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি রয়েছেন তার সঙ্গে পরামর্শ করেই আমরা সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসকল কিছুই হচ্ছে উস্কানি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তিপূর্ণ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। দেশনেত্রী কারও উস্কানিতে পা না দিয়ে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাওয়ার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। এর আগে বিকাল তিনটায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার কারাগারে যান।