কলকাতায় অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে অসাবধানতাবশত সর্বস্ব খুইয়ে বিপাকে পড়েছে এক বাংলাদেশি পরিবার। গত ৩ মার্চ কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া জেলায় এক বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে (মুখার্জি ফার্টিলিটি সেন্টার) অসুস্থ স্ত্রী পরভিন আখতারকে (৪১) চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন নোয়াখালির বাসিন্দা মহম্মদ সফিকুল আলম। মঙ্গলবার দুপুরে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের পাশেই একটি ফটোকপির দোকানে স্ত্রীর চিকিৎসা সম্পর্কিত কাগজপত্র নিয়ে ফটোকপি করাতে গেলে অসাবধানতাবশত খোয়া যায় তাঁর সাথে থাকা ৬৫হাজার রুপি। ফটোকপি করার পর দোকান ছেড়ে বেরিয়ে কিছুক্ষণ পরেই সেখানে ফিরে যান। কিন্তু তার রুপির ব্যাগটি পাওয়া যায় নি।
সফিকুল জানান বেসরকারি নার্সিং হোমের কাছেই দাস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে ফটোকপি করানোর পর সেখানেই ভুল করে রুপির বান্ডিল ফেলে আসেন। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সেই দোকানে ফিরে গেলেও খোয়া যাওয়া সেই রুপির হদিশ পাওয়া যায় নি। এই অবস্থায় ওই বাংলাদেশি পরিবারটি স্থানীয় গোলাবাড়ি থানায় গিয়ে একটি নিখোঁজ অভিযোগ জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এরপর ওই ফটোকপির দোকানে অভিযান চালালেও রুপির খোঁজ মেলেনি।
এদিকে দাস এন্টারপ্রাইজের মালিক কিশোর কুমার দাস জানান, ‘ওই ভদ্রলোক চার রুপির ফটোকপি করেছেন তা দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু ৬৫ হাজার রুপি খোয়া যাওয়ার ঘটনা এখানে ঘটেনি। পুলিশও এসেছিল কিন্তু তারাও কিছু খুঁজে পান নি’।
এই অবস্থায় ওই বাংলাদেশি নাগরিক চরম বিপাকে পড়েছেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই বিদেশি পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।