আড়াই কোটি বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেছে

Slider নারী ও শিশু

264238_146

 

 

 

 

গত দশকে আড়াই কোটি বাল্যবিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এক দশক আগেও যেখানে প্রতি চারজনে একজনকে বাল্যবিয়ে করতো, এখন তা প্রতি পাঁচজনে একজন হয়েছে। বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি কমেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বাল্যবিয়ের অবসান টানার অঙ্গীকার করেছেন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিশ্বে বর্তমানে বাল্যবিয়ের হার কেমন তা নিয়ে নতুন এক পরিসংখ্যান হাজির করেছে ইউনিসেফ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে বাল্যবিয়ের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

তবে এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি আছে বলে মনে করছে ইউনিসেফ। সংস্থার মুখ্য জেন্ডারবিষয়ক উপদেষ্টা আঞ্জু মালহোত্রা বলেন, ‘বাল্যবিয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়াটা স্বাগত জানানোর মতো খবর, কিন্তু আমাদেরকে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।’

ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাল্যবিয়ের হার কমলেও আফ্রিকায় বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। বাল্যবিয়েজনিত সমস্যা তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে। এক দশক আগে প্রতি পাঁচজনে একজন বাল্যবিয়ের শিকার হলেও এখন সে হার বেড়ে প্রতি তিনজনে একজন হয়েছে। তবে আফ্রিকান দেশ ইথিওপিয়া বাল্যবিয়ের হার এক তৃতীয়াংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।

আঞ্জু মালহোত্রা বলেন, ‘যখন কোনও মেয়ে শিশুকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয় তখন থেকে শুরু করে তাকে জীবনভর পরিণাম ভোগ করতে হয়। তার স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন বিলীন হয়ে যেতে থাকে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে স্বামীর নির্যাতন এবং গর্ভকালীন জটিলতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি।’

আঞ্জু মালহোত্রা মনে করেন, বাল্যবিয়ের মধ্য দিয়ে যেন শিশুদের শৈশব চুরি না হয় তা নিশ্চিত করতে আরো জোরেসোরে কাজ করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *