শাহজাদা মিনহাজ;লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) থেকেঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর হাজ্বী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুপস কান্তি দাশ এর বেপরোয়া বেত্রাঘাত ও শারীরিক নির্যাতনে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী গুরতর অাহত হয়েছে বলে জানাগেছে। (সোমবার) ৫ই মার্চ সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ এহেসান।সে একই ইউনিয়নের আকবর পাড়ার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের পুত্র।পিতা হারুনুর রশিদ পেশায় একজন রিক্সা চালক।
এ ব্যাপারে আহত শিক্ষার্থী এহেছানের বাবা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুপস কান্তি দাশ কতৃক তার সন্তানকে বেপরোয়া বেত্রাঘাত ও শারীরিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হাজ্বী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া তার সন্তান এহেছান প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।
ক্লাসের গণিত ঘন্টায় ১০.৩০ ঘটিকায় উপরোক্ত বিবাদী শিক্ষক রুপস কান্তি দাশ ক্লাসে এসে কিছু বুঝে না আসার আগে তার সন্তান এহেছানকে টেবিলের সামনে ডেকে এনে হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী বারি দিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত ও গুরতর অাঘাত করেছেন।এবং ধাক্কা দিয়া মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি,লাথি মেরে বেদনা দায়ক জখম করেন।
পরে আমার ছেলে শিক্ষকের মাইরে অসহ্য হয়ে এবং ভয়ে বাড়ীতে পালিয়ে আসেন। এমন অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে বিবাদী আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং আমার ছেলের পড়ালেখা বন্ধ করে দিবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, উপরোক্ত বিবাদী প্রায় সময় অন্যায় ভাবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মারধর করিয়া থাকে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুপস কান্তি নাথ বলেছেন, প্রতিদিন এহেছান অনুমতি না নিয়ে টিপিন ছুটিতে বাড়ীতে চলে যায়, এবং আর আসেনা, সে প্রতিদিন ক্লাস ফাঁকি দেয়।
যেহেতু তে এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী। জেএসসি পরিক্ষার সময় বাকি মাত্র ৬মাস। তাদের সকালবেলা কোচিংও চলে প্রতিদিন। তার কাছে বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসার কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে বলে আমি স্কুল ফাঁকি দিয় তার কোন প্রমাণ নাই, বলে আমার সাথে তর্ক করে।
তারপর কয়েকটিমাত্র বেত্রাঘাত করা হয়েছে। কিল, ঘুষি লাথি কোনটাই মারিনাই, একজন শিক্ষক হয়ে কখনও একজন ছাত্রকে কিল, ঘুষি মারতে পারি? দু’একটা বেত্রাঘাত করেছি মাত্র, পরে সে স্কুল থেকে পালিয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুনীল কুমার চৌধুরী বলেছেন,ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। তবে,পারিবারিক কাজ থাকার কারণে তিনি কয়েকদিন ধরে ছুটিতে রয়েছেন।তিনি বিষয়টি শুনেছেন।বিদ্যালয়ের উপস্হিত হয়ে তিনি বিষয়টি শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষার্থী এহেছানকে ডেকে সঠিক সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বস্হ করেছেন।
স্থানীয় এলাকার সচেতন মহল মন্তব্য করেছেন, বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে এভাবে বেত্রাঘাত করাটাই সত্যিই দুঃখজনক।