মামলার পাহাড় বিএনপিতে

Slider রাজনীতি

279910_195

 

 

 

 

নির্বাচনী বছরে মামলায় আরো বিপর্যস্ত বিএনপি। দলটির সামনে মামলার পাহাড়। বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের বহু নেতাই মামলার জালে বন্দী। প্রতিনিয়তই তাদের নামে নতুন মামলা হচ্ছে। দলটির চেয়ারপারসন যে দিন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান সে দিনও বহু নেতাকর্মীর নামে দেয়া হয়েছে নতুন মামলা। বিএনপির অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপিকে চাপে রেখে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা এখন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের আদালতের বারান্দায় রেখে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।

বিএনপির দফতর সূত্র জানিয়েছে, ২০০৭ থেকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত করা প্রায় ৫০ হাজার মামলায় নামে-বেনামে আসামি প্রায় ১২ লাখ নেতাকর্মী। এ ছাড়া এ সময়ে অন্তত ৭৭৩ জনকে হত্যা এবং কমপে ৭২ জনকে গুম করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলটির ৭৭২ জন খুন ও ৭২ জনকে গুম করা হয়েছে বলে তথ্য সংরণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সাত বিভাগ মিলিয়ে ৪৯ হাজার ৫৪৬টি। আর এসব মামলায় মোট আসামি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ জন নেতাকর্মী। পাশাপাশি এ সময়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দুই হাজার ৪২৮ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত খুন হয়েছেন একজন। মামলার সংখ্যা ৫২৮টি। এগুলোতে আসামি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৭ নেতাকর্মীকে। মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭৭৩ জনকে খুন, ৭২ জনকে গুম করা হয়েছে। মামলার সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৪টি। মোট আসামি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪৯ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত চার হাজার ৮০০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর রাজধানী ঢাকার চার থানায় (শাহবাগ-রমনা-পল্টন-মতিঝিল) নতুন ৪৮টি মামলা হয়েছে।

বিএনপি দফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের ভেতর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে চার হাজার ৩৩০টি। সব মিলিয়ে সব ধরনের নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ২২০টি, রাজশাহী মহানগরে ৫৮৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত হাজার ৩৩৭টি, চট্টগ্রাম মহানগরে এক হাজার ৩৮৮টি, ঢাকা বিভাগে ছয় হাজার ২১৮টি মামলা, ঢাকা মহানগরে ১৪ হাজার ৩০০টি, রংপুর বিভাগে এক হাজার ৪৩৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ১৪৫টি, খুলনা বিভাগে পাঁচ হাজার ১৩৫টি, খুলনা মহানগরে ৫২৯টি, বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ৩৭৯টি, বরিশাল মহানগরে ১৪৮টি, সিলেট বিভাগে এক হাজার ৭৬টি, সিলেট মহানগরে ৩১৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা ১৫৮ জন।

এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৮৯ হাজার ৭১৫ জন, রাজশাহী মহানগরে আট হাজার ৬৫২ জন, ঢাকা বিভাগে আসামি দুই লাখ ৬৭ হাজার ৯৫২ জন, ঢাকা মহানগরে এক লাখ ৯৫ হাজার ১৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক লাখ সাত হাজার ৩৫৫ জন, চট্টগ্রাম মহানগরে ৩৮ হাজার ৮৭৪ জন, রংপুর বিভাগে ৮৬ হাজার ৫২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক লাখ তিন হাজার ৬৪০ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৮ হাজার ৬৭ জন, বরিশাল মহানগরে ৩৫ হাজার ৪৭৮ জন, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৫১৬ জন, সিলেট মহানগরে ২৪ হাজার ১৪২ জন, খুলনা বিভাগে এক লাখ ৩২ হাজার ৫৭৪ জন এবং খুলনা মহানগরে ছয় হাজার ৯৪৯ জন।

বিএনপির মনিটরিং সেলের দায়িত্বে থাকা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো: সালাহ উদ্দিন খান বলেন, মামলাগুলোর বাদি সরকারই। মামলা যখন ফৌজদারি কার্যবিতে আসে তখন সরকারই বাদি হয়ে যায়। মামলা ও আসামির সংখ্যা কিভাবে শনাক্ত করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে আমি ২০১২ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে করে যাচ্ছি। আমি ৪৭ জেলা, ৩৬৫ উপজেলা, ১৬৯টি ইউসরেজন ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সে েেত্র সংশ্লিষ্ট জেলা, থানা ও ইউবিএনসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা সহযোকরেছেন। এখনো প্রতি সপ্তাহে মামলার এজাহার নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্নভাবে পৌঁছানো হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া দিগন্তকে বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে হাতিয়ার হিসেবে মিথ্যা মামলাকে বেছে নিয়েছে। এসব মামলার উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট। বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের চেয়ারপারসনকে দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছেন। তবে তিনি ভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এখন ৭৮ হাজার মামলা। এক মাস আগে পর্যন্ত হিসাব নিয়েছি আমাদের আসামি সংখ্যা ১৮ লাখের উপরে।

কারাগারগুলো ভরে গেছে বিএনপির নেতাকর্মী দিয়ে। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি মামলার বোঝা নিয়ে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচারের চেয়ে আদালতের বারান্দায় বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। এটা সরকারের আরেকটি ক‚টকৌশল।

সূত্র জানায়, মামলার কারণে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। বাধ্য হয়ে তাদের আদালতে সময় দিতে হচ্ছে। পুলিশের ভয়ে এলাকায় থাকতে পারছেন না। নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় গিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসবে মামলাসংক্রান্ত ব্যস্ততা আরো বাড়বে। ফলে তারা নির্বাচনের প্রচারের দিকে খুব বেশি সময় দিতে পারবেন না। অথচ সরকারি দলসহ অন্যান্য দলের নেতারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন। গণসংযোগ চালাচ্ছেন নির্ভয়ে। আগামীতে আরো জোরেশোরে তারা মাঠে নামবেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের জন্য ভোটের মাঠ অনুক‚ল নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বোঝানো হয় তা তাদের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন, শাসক দলের প্রার্থীদের সুবিধা দিতেই বিএনপির বিরুদ্ধে মামলার কৌশল নেয়া হয়েছে। পুরনো এবং নতুন মামলা দিয়ে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে দৌড়ের ওপর রাখা হচ্ছে। এ সুযোগে প্রায় ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে শাসকদলের নেতাকর্মীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। তবে বিএনপির দফতর বলছে তার বিরুদ্ধে মোট মামলা ২১টি। এসব মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় হয়েছে। আর সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলার রায় দেয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে ২১ আগস্ট মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও হয়েছে।

সিনিয়র নেতাদের কার কত মামলা : বিএনপি, আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মোট ২৪টি, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৮৫টি মামলা আছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে কয়েকটি মামলার বিচারকাজও শুরু হয়েছে। সব মামলাতেই তিনি জামিনে আছেন। এসব মামলায় সপ্তাহে দুই দিন তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের আমলে তিনটি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ৯টি, তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪টি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৫২টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ৩৭টি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নামে ১৯টি, নজরুল ইসলামের খানের বিরুদ্ধে সাতটি, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশ কিছুর বিচার শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন।

এ ছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ছয়টি, মোহাম্মদ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৯টি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নামে ২৭, এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২৮টি, বরকতুল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে ৬১টি, আবদুল আউয়াল মিন্টুর নামে সাতটি, শামসুজ্জামান দুদু ১৭টি, শওকত মাহমুদ ১৩টি, সেলিমা রহমান ২১টি, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন চারটি, মেজর (অব:) হাফিজউদ্দিন আহমেদের নামে ৬টি মামলা রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ৯৬টি, জয়নুল আবদিন ফারুক ৪৭টি, মিজানুর রহমান মিনু ২৪টি, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ১৩টি, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বিরুদ্ধে ২৪টি, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৫৪টি, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে ৪৯টি, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে ৯টি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামে ১৪১টি, মজিবুর রহমান সারোয়ারের বিরুদ্ধে ১৩টি, খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে ১৪টি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ১২৯টি, লায়ন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯টি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে ৪৭টি, ফজলুল হক মিলন ৯টি, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে ১৩টি, আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ১৩টি, বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশির ভাগেরই চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর নামে ২৯টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে ১৪টি, আজিজুল বারী হেলালের বিরুদ্ধে ২৯টি, এ বি এম মোশারফ হোসেনের নামে ১৩টি, মীর সরফত আলী সপুর নামে ২৭টি, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের নামে ছয়টি, শহীদুল ইসলাম বাবুলের নামে ১৪টি, আকন কুদ্দুসুর রহমানের নামে ছয়টি, মো: মুনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১১টি, তাইফুল ইসলাম টিপুর বিরুদ্ধে ছয়টি, বেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে ১৬টি, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের নামে ২১৫ ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ২১২টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর নামে ৩১টি এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের নামে ১০৮টি মামলা রয়েছে। এসব নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা অনেক মামলায় ইতোমধ্যে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। চলছে বিচারকাজও। ইতোমধ্যে জুয়েল কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে ইতোমধ্যে পরিকল্পিতভাকে বানোয়াট ও কারসাজিমূলকভাবে জাল নথি বানিয়ে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন কিভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায় তা নিয়েও সরকার ষড়যন্ত্র করছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে। দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে।

অন্য দিকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ছাড়াই সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি খরচে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন, যা নির্বাচনে সমতল মাঠ নির্মাণে সহায়ক নয়। নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *