রাজধানীর পলাশী এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যবসায়ীকে পলাশী-সংলগ্ন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে এনে মারধর করে হলটির সাবেক ও বর্তমান কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন পলাশী-সংলগ্ন বুয়েট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মারধরে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। বুলবুল নিজ এলাকা গোপালগঞ্জের একটি হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি এছাড়া হলটির সাবেক সভাপতি রিফাত জামানকে হল ছাড়া করেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ দোষী হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পলাশী বাজারের পশ্চিম গেট থেকে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলমের একটি বাইক চুরি হয়। এ ঘটনায়র বিস্তারিত জানতে তিনি মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজের জন্য আবেদন করেন। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বুলবুল ও শাহিনসহ জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পুনরায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান। এসময় তারা পুলিশও ডাকেন ঘটনাস্থলে।
কিন্তু বাজার কমিটির মাহবুব নিজেদের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ নেই দাবি করে বলেন, এটি বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে আমাদের কাছে নেই। এরপর ছাত্রলীগ নেতারা মাহবুবকে ধরে হলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাহবুব হোসেন বলেন, তারা আমাদের কমিটির কাছে সিসি টিভির ফুটের চেয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের জানিয়েছি, সিসি টিভি ফুটেজ আমাদের কাছে থাকে না, এটি বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে চাইতে। আমি তাদের সহযোগিতা করার জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষের নম্বরও দিয়েছি। কিন্তু তারা সেটি আমলে না নিয়ে আমাকে হলে নিয়ে মারধর করে।
তবে এধরনের ঘটনার অস্বীকার করেন বুলবুল। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সেখানে আমাদের হলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনের বাইক চুরির ঘটনায় সিসি টিভির ফুটেজ নেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছিল, তখন আমি সেটি সমাধান করার চেষ্টা করছি। এখন মাহবুব ভাই কেন আমার নাম বলছেন, সেটি আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় তিনি কারো দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও বিজয় একাত্তর হলে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ।