স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের বিজিবি সতর্ক আছে। সেখানে সেদেশের সৈন্যদের অস্ত্রের মহড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে আমরা সেদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছে সেদেশের কিছু রোহিঙ্গা নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছে তাই তাদের এই মহড়া। এটি তাদের একান্ত নিজস্ব বিষয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সেখানে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, মিয়ানমারের সৈন্যদের মাইকযোগে হুমকির মুখে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের অস্থায়ী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরৎ নিয়ে যাবে বলে পুনরায় আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের অতীতের বিভিন্ন সময়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমারা ওয়াকেবহাল।
অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ফলপ্রসূ হবেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গার চরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। পাঁচ বছর পর অবস্থা কী দাঁড়াতে পারে তা তিনি বুঝতে পারেন। তাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র সীমান্ত এলাকা সুরক্ষার জন্য আরো নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বিজিবির ক্রমাগত উন্নয়নের ধারা তুলে ধরে বলেন, ‘ইতোমধ্যে রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন এবং বিওপিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।’
কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম ও প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৯১তম ব্যাচের ৫৩৫ জন নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রথম স্থান অর্জনকারী ও সব বিষয়ে সেরা নবীন সৈনিকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।