প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা

Slider লাইফস্টাইল

777777-600x600

 

সহজলভ্য ফল কলা। দামেও সস্তা। তাই চট-জলদি ক্ষুধা মেটাতে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। তবে নিয়মিত কলা খেলেও, এই ফলটির উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তাদের জন্য এক কথায় বলা যেতে পারে কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

কলায় ভিটামিন সি, বি-৬, পটাশিয়াম, তন্তুসহ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দীর্ঘ সুস্থ জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, দিনে দুটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে এর জন্য ছোট কলা বেছে নেওয়াই ভালো। আর যদি টানা এক মাস আপনি দিনে দুটি করে কলা খান, ফলটা হাতেনাতেই টের পাবেন।

কলার নানা উপকারিতার কথা তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট অর্গানিকফ্যাক্ট ডট নেট। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—

ওজন কমায়

প্রচুর পরিমাণে তন্তু থাকায় কলা হজমে সাহায্য করে। এতে কোনো চর্বিও নেই। কলা খেলে ক্ষুধা কম লাগে। ফলে বারবার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। এতে সহজেই ওজন কমে যায়। তাই অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিরা ডায়েটে কলা রাখতেই পারেন।

হাড় শক্তিশালী করে

হাড়কে মজবুত এবং শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে কলা। এতে ফ্রুক্টোলিটোস্যাকারাইড বিদ্যমান থাকায় তা হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে। এ ছাড়া কলায় ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের উৎপাদন এবং বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরি অস্টিওপোরোসিস এবং প্রাকৃতিক দুর্বলতা কাটাতেও সাহায্য করে কলা।

গেঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি

অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে যে কোনো বয়সের মানুষ আর্থ্রাইটিস এবং গেঁটের ব্যথায় ভুগতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে কলায় অ্যান্টি-ফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকায় সহজেই এই ব্যথার উপশম হয়। তাই অনেক দিনের ব্যথা দূর করতে প্রতিদিনের ডায়েটে একটি করে কলা রাখুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে

প্রচুর পরিমাণে তন্তু বিদ্যমান থাকায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোধে সাহায্য করে কলা। একইসঙ্গে পেটের নানা সমস্যা সমাধানেও ভূমিকা রাখে এটি। এতে অ্যান্টি-ফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় তা পেটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রোধ করে। ফলে পাইলসের সমস্যাও দূর হয়।

আলসার প্রতিরোধে

কলায় প্রাকৃতিক নানা উপাদান বিদ্যমান থাকায় তা আলসারের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দূরে রাখে। এর ফলে সহজেই আলসার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। নরম ও মিহি হওয়ায় পেটের সমস্যা সমাধানেও খুবই উপকারী কলা।

কিডনি ভালো রাখে

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফলটি কিডনি ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় তা কিডনির কাজকর্মে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনগুলো বের করে দিতেও ভূমিকা রাখে কলা।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

অন্য অনেক ফলের মতো কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড বিদ্যমান থাকায় তা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে অন্ধত্ব, ছানিপড়াসহ চোখের নানা সমস্যা দূর হয়।

রক্তশূন্যতা রোধ করে

কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। ফলে রক্তশূন্যতা সম্ভবনা কমে। এমনকি রক্তশূন্যতা সারাতেও সাহায্য করে কলা।

রক্তচাপের সমস্যা সমাধানে

কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রুখতে পারে। তাইতো কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলা খেতে সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *