বিতর্কিত বক্তব্যর জন্য সংবাদমাধ্যমে সবসময় আলোচনায় থাকেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে, এবার তার নিজের বেতন নিয়ে অসঙ্গতি প্রকাশ করেছেন। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী তার বেতন দিয়ে সংসার চালাতে নাকি হিমশিম খাচ্ছেন। তাই নিজের বেতন বাড়ানোর দাবি করে তিনি জানান, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী তার বেতন একেবারেই চলার মতো নয়। বেতনে খাবার জন্য আলাদা টাকাও দেওয়া হয় না।
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেন, ‘আমি কত বেতন পাই আপনারা সবই জানেন। আমার ঘরে দুজন স্ত্রী। মাত্র ৩ হাজার ৮৬০ ডলার আয়ে সংসার আর চলে না। যদি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংসার চালানোর মতো বেতন পেতে হয় তাহলে আমাকে প্রতি মাসে ১০ লাখ ফিলিপাইনের পেসো দিতে হবে।’
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে এসব কথা বলেন। তবে শেষের কথাটি অনেকটা রসিকতার সুরে বলেন তিনি।তবে তার ফিলিপাইনের বেতনের অনেকটা খরচ হয়ে যায় প্রথম স্ত্রী এলিজাবেথ জিমারম্যানের ভরণপোষণের জন্য। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বিরুদ্ধে ভরণপোষণের দাবি করেন প্রথম স্ত্রী এলিজাবেথ জিমারম্যান এরপর ২০০০ সাল থেকে জিমারম্যানকে ভরণপোষণের সব অর্থ দিয়ে আসছেন তিনি। এ কারণেই রসিকতা করে বেতন বাড়ানোর কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো। তার বর্তমান স্ত্রী হ্যানিলেট অ্যাভেনসিনা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো একটি নির্দেশিকায় সাক্ষর করে দেশের চাকরিজীবী ও সামরিক বাহিনীর কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছেন। বর্তমান ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের বেতন আগামী বছর থেকে বাড়ানো হচ্ছে। তখন মাসিক বেতন হবে ৭ হাজার ৭১৪ ডলার। এর আগেই বেতন নিয়ে মন্তব্য করলেন রদ্রিগো।