নতুন প্রজন্মকে আধুনিক কৃষিতে উৎসাহিত করতে পাঠ্যক্রমে কৃষিকে ব্যবহারিক শিক্ষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা, কৃষিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়; কৃষির উন্নয়নের মধ্য দিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে কৃষিকাজ শেখানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষিকাজে লজ্জার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্প ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য।
কৃষিখাতে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উৎপাদন থেকে বাজারজাত লাভ পর্যন্ত কৃষির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ আশা করেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের চেষ্টা দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
তিনি জানান, ১৯৭৩ সালে কৃষি তহবিল গঠন করে কৃষকদের জন্য পুরস্কার চালু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। শিক্ষার্থীদের জন্য হাতে কলমে কৃষিকাজ শিক্ষা এবং ছাদ কৃষির চর্চা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
কৃষিভিত্তিক শিল্প, সরকারের হাতের ভালো বীজ ক্ষমতা বাড়ানো, বিএডিসিকে শক্তিশালী করাসহ কৃষিখাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে কৃষিকের চেষ্টায় উন্নত হবে বাংলাদেশ আর উন্নয়নের মূল ভিত্তি হবে কৃষি।
কৃষি খাতের উন্নয়নে বিগত কয়েক বছরে সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি বিদেশে রফতানিতেও নজর বাড়াতে হবে। ১৯৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ৯৮ সালের বন্যায় দেশের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। বিশ্বব্যাংক বলেছিল মানুষ খাবার না পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। ৯৮ সালেই ঘাটতি পূরণ করে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এখন আমরা ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে।