আগামী বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসংসদগুলোর নির্বাচন দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সক্রিয় সংগঠন নিয়ে এ নির্বাচন হবে বলে জানা গেছে। ঢাবির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার রাতে এ ডাকসু নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আমরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করছি। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য প্রাধ্যক্ষদের বলা হয়েছে। বিষয়টি প্রভোস্ট কমিটিকে এবং সিন্ডিকেটকেও বলা হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, এর জন্য কিছু নিয়মনীতির রয়েছে। সেগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সিন্ডিকেটও সম্মতি দিয়েছে। আমরাও এ বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করছি।
নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে হলের শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদ করতে স্ব স্ব হল প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরপরই হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির নির্বাচন হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই প্রায় দীর্ঘ ২৮ বছর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল ও স্বৈরাচার এরশাদের আমলেও ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। তা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক দাবি করা সরকারগুলো ক্ষমতায় আসার পর থেকে অচল রাখা হয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ডাকসু। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নীতিনির্ধারিণীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মতামত। নষ্ট হচ্ছে তাদের অধিকার। তবু শিক্ষর্থীদের পক্ষে কথা বলার যেন কেউ নেই। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ডাকসু নির্বাচন।