জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিরা। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা শত শত নেতাকর্মিরা অংশ নেন। আর এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের কোন্দলে পাঁচ ভাগে বিভক্ত বিএনপির নেতাকর্মিরা দল ও দলনেত্রীর স্বার্থে আপাতত ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সোমবার সকালে নিউ ইয়র্ক থেকে কয়েকটি বাস যোগে শতশত নেতা-কর্মিরা সমাবেশের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসিতে রওয়ানা হন। নিউ ইয়র্ক ছাড়াও ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস (নিউ ইংল্যান্ড), কানেকটিকাট, পেনসিলভানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, মিশিগান, ইলিনয় বিএনপির নেতা-কর্মিরাও ঠিক দুপুরে একই স্থানে এসে হাজির হন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এক যৌথ প্রস্তুতি সভা থেকে এ কর্মসূচিকে মানববন্ধন ঘোষনা করা হলেও শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে রুপান্তরিত হয়।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মিরা দেশ ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন হোয়াইট হাউজ এলাকা।
সমাবেশে বিএনপির নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে। দেশনেত্রীকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে প্রবাসে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসব।
বক্তারা আরো বলেন, সকল দেশপ্রেমিক মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে যথা শিগগির এই ফ্যাসিস্ট অপসারণ করে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একটি উপায়, তাহলো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মিরা পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তার হাতে দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। উক্ত স্মারকলিপিতে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি উল্লেখ হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি ও বিএনপির নেতা-কর্মিদের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, হত্যা ও গুম বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, আব্দুল লতিফ সম্রাট, সোলায়মান ভূইয়া, ফিরোজ পাটোয়ারী, আব্দুল বাতেন, গিয়াস আহমেদ, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, জিল্লুর রহমান জিল্লু, মো. হেলাল উদ্দিন, এবাদ চৌধুরী, সাইখুর খান হারুন, শরাফত হোসেন বাবু, জসিম ভূইয়া, সেলিম রেজা, মোহাম্মদ উদ্দিন, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, বাকির আজাদ, আব্দুস সবুর, গিয়াস উদ্দিন, পারভেজ সাজ্জাদ, ডা. তারেক জামান, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ফারুক হোসেন মজুমদার, মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, জাকির এইচ চৌধুরী, আবু সাঈদ আহমেদ, গোলাম ফারুক শাহীন, সৈয়দ জুবায়ের আলী, মোহাম্মদ হোসেন, ডেইজি ইসলাম, মোজাম্মেল নান্টু, শাহ ফরিদ, এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, প্রফেসর নুরুল আমিন পলাশ, শেখ হায়দার আলী, ওয়াহেদ আলী মণ্ডল, আহবাব চৌধুরী খোকন, মনির হোসেন, আমানত হোসেন আমান, রেজাউল আজাদ ভুইয়া, আতিকুল হক আহাদ, শাহাদত হোসেন রাজু, আবুল কাশেম, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, মোহাম্মদ খালেক, আবু তাহের, আতিকুল আহাদ, মার্শাল মুরাদ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়াদী, খলকুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম জনি, মোশারফ সবুজ, মেয়র আবুল কালাম আজাদ, জাকির হাওলাদার, মো. আলমগীর মৃধা, আক্তার হোসেন বাদল, ড. নুরুল আমিন পলাশ, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, আহসান মামুন, এস আহমেদ রুমেল, জসিম উদ্দিন সবুজ, কাওসার আহমেদ, রুহুল আমিন নাসির, আমিনুর রহমান খোকন, কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম ও ইমরান শাহ রন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।