এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত ও ব্যক্তিগতভাবে জানালে আমি তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়াও, এই আইনটি এখনও খসড়ার পর্যায়ে আছে। সংশোধন শেষে তা আরও কয়েক মাস পর সংসদে বিল আকারে যাবে। তাই চিন্তার কিছু নেই। মন্ত্রী আরও জানান, ‘গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরির শর্তাবলী’ নামে একটি বিল আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের করা ‘সাংবাদিক-কর্মচারী অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মী ও কর্মচারীদের অধিকার, চাকরির নিশ্চয়তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী। আরও বলেন, বাংলাদেশ সেইসব গুটিকয়েক দেশের একটি, যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশের সংবিধানে সংবাদপত্র এবং সংবাদকর্মীদের জন্য আলাদাভাবে বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীদের স্বাধীনভাবে, আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে মতামত, সমালোচনা প্রকাশের কথা উল্লেখ ছিলো। এটা ছাড়া গণমাধ্যমের মৃত্যুু হয় বলেই মনে করতেন বঙ্গবন্ধু। একইসঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা, নিয়মিত বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ ও কল্যাণের বিষয়টিও সংবিধানে উল্লেখ ছিলো। ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ।