কালিয়াকৈরে পরাজিত কাউন্সিলর পরিবারকে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে হয়রানীর অভিযোগ

Slider গ্রাম বাংলা

28511701_2043272895919751_187773454_n

 

 

 

 

 

 

 

 

গাজীপুর অফিস: কয়েকটি জাতীয়  দৈনিক পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ দিয়ে আমাকে হয়রানী করছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব। এমনটিই বলেছেন গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা,  পরাজিত কাউন্সিলর শাহ আলমের বাবা সৈয়দ আলী মাতব্বর। বিজয়ী কাউন্সিলরের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে পত্রিকাগুলো তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ দিয়ে হয়রানী করছে, যার ফলে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তা আতঙ্কে ভুগছেন বলে দাবী করেছেন সৈয়দ আলী মাতব্বর।

সৈয়দ আলী মাতব্বরের দাবি,  ১৯৪৯ সনে কালিয়াকৈরে বলিয়াদীর জমিদার কাজীমুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর নিকট থেকে জমিদারী পত্তন মূলে ৫.৮৫ একর জমির মালিক হন জনৈক সোহরাব হোসেন। ১৯৮৬ সালে সোহরাব হোসেনের নিকট থেকে সাবকাওলা রেজিষ্ট্রি মূলে ওই জমির মালিক হন সৈয়দ আলী মাতব্বর গং। কিন্তু ভুলবশত সরকারী  রেকর্ডে ওই জমি অন্তর্ভূক্ত হয়নি। নিজের ক্রয়কৃত জমির রেকর্ড ও গেজেট সংশোধনের জন্য সৈয়দ আলী মাতব্বর আদালতের আশ্রয় নেন। সর্বশেষ উচ্চ আদালত, ওই তপিসিলি জমির উপর স্থায়ী স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়ে মামলা নিস্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত তপসিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এর মাঝে ১৯৮৮ সনে জনৈক ওসমান আলী তৎকালিন কালিয়াকৈর উপজেলা আদালতে তপসিলি জমি নিজের দাবি করে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ওসমান আলী নিজের ভুল বুঝতে পেরে মোকদ্দমাটি প্রত্যাহার করে নেন। কপিতয় খারাপ মানুষের কূপরামর্শে দায়েরকৃত মোকদ্দমাটির প্রত্যাহার পত্রে ওসমান আলী, নালিশি জমির মালিক সৈয়দ আলী মাতব্বর বলে  স্বীকার করে নেন।

সৈয়দ আলী মাতব্বর আরো বলেন,  প্রতিপক্ষ ওসমান আলী, আমার শশুর হওয়ায় পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়ে যায়। সৈয়দ আলী মাতব্বর তার শশুর ‍ওসমান আলীকে  মানবিক কারণে অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ৪০ শতাংশ জমি  দেন।

পরবর্তি সময় ২০১৪ সালে কালিয়ৈাকৈর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সৈয়দ আলী মাতব্বরের ছেলে শাহ আলম ও সৈয়দ আলী মাতব্বরের শ্যালক আবুল কাশেম, কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। মামা-ভাগিনার ওই প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ন  নির্বচানে মামা আবুল কাশেম বিজয়ী হয় ও ভাগিনা শাহ আলম পরাজিত হন। ফলে এই দু্ই পরিবারের বিরোধ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। পরে নির্বাচনী জেরে আবুল কাশেম গং শাহ আলমের পিতা সৈয়দ আলী মাতব্বর গংদের বিরুদ্ধে শত্রুতা শুরু করেন। কাউন্সিলর আবুল কাশেম গং সৈয়দ আলী মাতব্বরের পরিবারের সদস্য ও   নির্বাচনী  কর্মীদের  মারধর করে আহত করেন।

এক পর্যায়ে কাউন্সিলর আবুল কাশেম গং সৈয়দ আলী মাতব্বর গং এর জায়গা জমি জবরদখল করার চেষ্টা চালায় নানা ভাবে। এক সময় কাউন্সিলর আবুল কাশেম, সৈয়দ আলী মাতব্বরের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মান শুরু করলে বিরোধ দেখা দেয়। জমি জবর দখলের জন্য কাউন্সিলর আবুল কাশেম সৈয়দ আলী গং এর নামে ৫ লাখ টাকা চাাঁদাবাজীর অভিযোগ করে কালিয়াকৈর থানায়। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় ওই মামলা রেকর্ড হয়নি।

সম্প্রতি কাউন্সিলর আবুল কাশেম পুনরায় সৈয়দ আলী মাতব্বর গং এর জায়গা দখল করতে যায়। দখল করার কৌশল হিসেবে তিনি তাকে হত্যা   চেষ্টার মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে মিথ্যা খবর দেয়। সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে কাউন্সিলর আবুল কাশেমকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ মর্মে সৈয়দ আলী মাতব্বর গংদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ওই সংবাদগুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সৈয়দ আলী মাতব্বর বলেন, আবুল কাশেম কাউন্সিলর আমার জমি  জবর দখলের জন্য মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করে বেকায়দায় ফেলতে চায়। তিনি  সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রেবেকারী কাউন্সিলর আবুল কাশেমের শাস্তির দাবি করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *