অবশেষে পরিবর্তিত হলো শুল্ক ফাঁকিবাজদের আতঙ্ক হিসেবে খ্যাত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খানের দপ্তর। শুল্ক প্রশাসনে রদবদলের জেরে শুল্ক গোয়েন্দা থেকে সরিয়ে তাঁকে ঢাকা শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে মইনুল খানসহ ৬ কমিশনারের বদলির আদেশ আসে। প্রায় পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে কর ফাঁকিবিরোধী নানা অভিযানের কারণে আলোচিত ছিলেন মইনুল খান।
তাঁর সময়েই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৪৫ মন অবৈধ সোনা আটক, চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার কোকেন আটক, স্থলবন্দরগুলোতে অন্যান্য অবৈধ পণ্য আটক হয়। বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিলাসবহুল গাড়ি আটকেও প্রধান ভূমিকা রাখেন মইনুল খান। তাঁর আমলেই বিশ্ব ব্যাংক এবং ইউএনডিপির সাবেক কর্মকর্তাদের শুল্ক ফাঁকি দেওয়া গাড়ি আটক এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। এ ছাড়া, আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ১৫ মন সোনা আটকের ঘটনায়ও আলোচিত ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই শুল্ক কর্মকর্তা উপন্যাস ও টেলিভিশন নাটকও লেখেন।
মইনুল খানসহ ছয়জনের দপ্তর পরিবর্তন করে এনবিআর সচিব (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন ১) মো. শামসুদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রাজস্ব প্রশাসনকে আরো গতিশীল এবং করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।