হঠাৎ করেই মুফতি উসামার বাসায় হাজির হলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। গত বছরের ডিসেম্বরে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, শাহরিয়ার নাফিস, চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের সাথে ওমরাহ পালন করতে দেখা যায় মুফতি উসামাকে।
মুফতি উসামাকে সোশ্যাল মিডিয়া চেনে চিত্রনায়িকা হ্যাপুই ও ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটোনার সময় থেকে। যদিও এরই মাঝে একবার তামিম ইকবাল ও অনন্ত জলিলের সাথে টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতেও দেখা গিয়েছিল।
তবে নাজনীন আক্তার হ্যাপি তাবলিগ জামাতে মনোযোগী হন মূলত মুফতি উসামার পরামর্শে। অনন্ত জলিলও একই পথে হেঁটেছেন। হ্যাপি চলচ্চিত্র ও শোবিজ দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলছেন।
অনন্ত জলিলের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা গেছে। বাংলা চলচ্চিত্রের এই নায়ক আকস্মিক উপস্থিত হয়ে চলচ্চিত্রে শোরগোল ফেলে দেন। কিন্তু সেই শোরগোল স্থিমিত হওয়ার আগেই চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ঘোষণা দিয়ে দুই চলচ্চিত্র নির্মাণ করার কথা থাকলেও তিনি সেসব স্থগিত করে পুরোদমে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছেন অনন্ত।
সম্প্রতি শাকিব খানকে দেখা গেল মুফতি উসামার সাথে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মহলে বেশ আলোচনা চলছে। অনেকি প্রশ্ন রেখেছেন তাহলে কি শাকিব খানও চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাচ্ছেন?
জানা গেছে, সম্প্রতি মুফতি উসামার সঙ্গে দেখা করে ইসলামের দাওয়াত নিয়েছেন শাকিব। কিছুক্ষণ বসে তারা ধর্মীয় আলাপও করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বেস কয়েকটি ছবি দেখা গেছে, যেখানে শাকিবকে দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরে মুফতি উসামার কথা মনযোগ দিয়ে শুনছেন শাকিব খান।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, মুফতি উসামার সাথে শাকিব খানের অনেক আগে থেকেই যোগাযোগ রয়েছে। ধর্মীয় যে কোনো ব্যাপারে রাজধানী ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের ইমাম উসামার পরামর্শ নিতেন শাকিব। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শাকিব খান ২০১৬ সালে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ধরেননি। তবে শাকিব খানের কাছের একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি নামাজ আদায় করেন, রোজা পালন করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থ দেন।