র্তর্মানে দ্বিতীয় হলেও ভবিষ্যতে জার্মানিই হবে বাংলাদেশের এক নম্বর রফতানি বাজার। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এর আগে দুপুরে জার্মানির সমাজকল্যাণ ও শ্রমবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইয়র্গ আমুসেনের (Jorg Asmussen) সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু তৈরি পোশাক রফতানির মধ্যে না থেকে রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে রফতানি বাজার তৈরি হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ, জাহাজ, চামড়া এবং আইসিটি সেক্টরে আমদানি করবে জার্মানি। ভবিষ্যতে জার্মানি হবে বাংলাদেশের এক নম্বর রফতানি বাজার। এ মুহূর্তে জার্মানি বাংলাদেশের একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার।
তিনি বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জার্মানি খুশি। আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা প্রদান করবে জার্নানি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত এবং দেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। পোশাক কারখানাগুলোর ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেট্রিক্যাল সেফটি, উন্নত কাজের পরিবেশ, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত করা হয়েছে। তৈরি পোশাক ক্রেতাদের নিয়োজিত তদন্ত সংস্থা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর অবস্থা পরিদর্শন করে যাচ্ছে।