জেনে রাখুন নারীদের বিশেষ ৩টি স্বাস্থ্য সমস্যার কিছু কথা

লাইফস্টাইল

thumb_2102_content_pinterest_thumbnailসুস্থ আমরা সবাই থাকতে চাই। কিন্তু আজকাল আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি তাতে সুস্থতা চলে যায় অনেক দূরে। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণই হল সুস্থ ভাবে জীবনযাপন না করা। কারণ নিজেদের কর্মব্যস্ততার জন্য নিজেকেই আমরা সময় দিতে পারিনা। কর্মস্থল, সংসার সব কিছু সামলে নিজেকে সুস্থ রাখাটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে কোন নারীর জন্য।

সুস্থ থাকতে হলে সবকিছুর আগে নিজের দেহকে গুরুত্ব দেয়া উচিত আমাদের সবারই। কিন্তু আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো, একজন নারী হিসেবে আপনিও স্বাস্থ্য সমস্যা বা অবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই নারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কথা।
গর্ভধারণ

গর্ভধারন, প্রতিটি নারীর জীবনের সবচেয়ে জটিল বিষয়। এই সময়টিতে নিজের খুব ভালো করে যত্ন নেয়া, সঠিক চিকিৎসা করা, গর্ভকালীন সময়ে কী কী করতে হবে, কী খেতে হবে, কী করা যাবেনা সবকিছু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে রাখা খুব জরুরী। এই সময়টিতে প্রতিটি নারীর দেহে দেখা দেয় নানা রকমের পরিবর্তন। তবে কিছু সাধারন লক্ষন সব নারীদের মধ্যেই দেখা দিয়ে থাকে। জেনে রাখুন লক্ষন গুলো সম্পর্কে।

-স্তনে অথবা নিপলে পরিবর্তন আসা
-ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা
-সকালের দিকে শরীর খুব খারাপ হয়ে যাওয়া
-শরীর খুব ক্লান্ত অনুভব করা
-বমি বমি ভাব ও মাথা ঘুরানো
-মাথা ব্যথা করা
-যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া

গর্ভকালীন সময়ে উপরের এই ৮ টি কারন নারীদের সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা।
স্তন ক্যানসার

নারীর জন্য আরেকটি ভয়ানক অসুখের নাম হলো স্তন ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সার হল একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা স্তনের কোষের মধ্যে হয়ে থাকে। স্তনে ক্যানসার হলেও এর অনেক ধরণ আছে। জেনে রাখুন স্তন ক্যানসার এর বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে।

-ডাকটাল কার্সিনোমা
-ইনভেসিভ ডাকটাল কার্সিনোমা
-ইনভেসিভ লবুলার কার্সিনোমা
-মিউসিনাস কার্সিনোমা
-মিক্সড টিউমারস
-মিডুলেরি কার্সিনোমা
-ইনফ্লেমটারি ব্রেস্ট ক্যানসার
-ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার

স্তনে ক্যানসার হওয়ার কিছু উপসর্গের মধ্যে একটি হল নিপল জ্বালা-পোড়া করা অথবা চারপাশ লাল হয়ে যাওয়া। স্তনে অথবা নিপলে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া কিংবা স্তনের কিছু কিছু জায়গা দেবে যাওয়া। তাই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সর্বদা সতর্ক থাকুন। ৪০ বছর বয়সী প্রতিটি নারীর উচিত তাদের স্তনের পরীক্ষা করানো।
মেনোপজ (পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া)

প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর বয়স যখন ৪০ থেকে ৫০ এর কোঠায় থাকে তখনই মেনোপজ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। নারীদের মেনোপজ হয় তখনই যখন তাদের ওভারি নিজের কার্যক্ষমতা কমে যায়। নারীদের মেনোপজ হওয়ার কিছু লক্ষণ নিম্নরূপ-

-অনেক নারীরই মেনোপজ হওয়ার আগে অত্যাধিক রক্তপাত হয়ে থাকে সাধারণ সময়ের তুলনায়। তবে এই সমস্যা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবার আগে এই সমস্যা দেখা দিতেই পারে

-হঠাৎ করেই রাতের বেলাতে শরীর অনেক বেশি গরম হয়ে যায় এবং বিশেষ করে মাথা ও বুক ঘেমে যায়। মেনোপজ হওয়ার খুব সাধারন একটি লক্ষন এটি।

-অনেক নারীর এই সময়ে যৌনাঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যেমন যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়া, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, যৌন মিলনের সময় জ্বালা-পোড়া করা অথবা ব্যথা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *