এই উৎসব মুখর পরিবেশে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় বর্ণমেলা। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে সুরের ধারা। এরপর মাঠে থাকা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অদিতি মহসিন, অভিনয়শিল্পী অপি করিম ও চঞ্চল চৌধুরী এবং কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক। এরপর বেলুন উড়িয়ে বর্ণমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা বর্ণ, ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের মহিমা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রথম আলো নবমবারের মতো এই আয়োজন করছে। বর্ণমেলার সহযোগী সার্ফ এক্সেল।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের তিন মা। নিজের মা, দেশ আর আমাদের ভাষা। আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করব আমরা আমাদের ভাষাকে ভালোবাসব। বাংলা ভাষার যত্ন নেব।’
বর্ণমেলার অন্যতম আকর্ষণ বর্ণ পরিচয়ের উৎসব ‘হাতেখড়ি’। মাঠের মাঝামাঝি জায়গায় করা হয়েছে সেই ব্যবস্থা। হাতেখড়ি দিতে উপস্থিত থাকবেন দেশবরেণ্য কবি, লেখক, শিল্পী ও শিক্ষাবিদেরা।
অনুষ্ঠানে অদিতি মহসিন ‘ও আমার দেশের মাটি’ আর চঞ্চল চৌধুরী ‘দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা’ গান দুটি গেয়ে শোনান।
বর্ণমেলায় ধানমন্ডি থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন শেখ তানভীর ও সাবরিনা তানভীন। তারা জানান, প্রতিবছর তারা আসেন। শিশুরা সারা দিন বর্ণের সঙ্গে কাটায়। এটা বিরাট আনন্দের বিষয়।
মাঠের একপাশে রাখা হয়েছে প্রথমা, বিজ্ঞান চিন্তা ও কি’আর স্টল। সেখানে ছাড়ে বই পাওয়া যাচ্ছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে রাখা আছে সিসিমপুরের ইকরি, হালুম, টুকটুকির মতো জনপ্রিয় চরিত্রের প্রতিকৃতি। সেগুলোর সঙ্গে শিশুরা ছবি তুলছে।