
মাত্র মাস কয়েক আগের কথা। বছর পঁচিশের এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মুম্বইয়ের বাশীর বাসিন্দা কুড়ি বছরের অঙ্কিতা মোরের।
বন্ধুত্ব গাঢ় হতে বেশি দিন সময় লাগেনি তাঁদের মধ্যে। নিয়মিত তাঁদের মধ্যে কথাও চলত। যার এক মাত্র মাধ্যম ছিল ফেসবুক চ্যাট। সেই চ্যাটের মাধ্যমেই অঙ্কিতাকে নিজের বাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানায় হরিদাস নির্গুডে নামে ওই যুবক। আগুপিছু না ভেবে সেই আমন্ত্রণ সাড়াও দিয়ে ফেলেন অঙ্কিতা।
সটান চলে যান হরিদাসের পূর্ব মুম্বইয়ের নালাসোপাড়ায় ফ্ল্যাটে। আর সেখানে গিয়েই মোহভঙ্গ হয় অঙ্কিতার। স্পষ্ট হয় ‘ফেসবুক বন্ধু’ আসল উদ্দেশ্য। জানতে পারেন বন্ধুত্ব নয়, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাঁকে এই আমন্ত্রণ। আর সে কথা শোনার পর সরাসরি হরিদাসের মুখের উপর ‘না’ বলেও দিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু, সেই ‘অপমান’ মেনে নিতে পারেননি হরিদাস। প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভেবে ফেলেন। খুন করেন ওই অঙ্কিতাকে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে নালাসোপাড়ায়। সেখানকার অলকাপুরী এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের একতলায় থাকেন হরিদাস। গত কাল চার তলার ওই ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে অঙ্কিতার দেহ দেখতে পান সেখানকার এক বাসিন্দা সন্তোষ গৌড়। বিষয়টি অন্যান্য আবাসিকদের জানান তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ওই তরুণীকে হরিদাসের ঘরে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানান ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাই।
সেই মতো হরিদাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন হরিদাস। জানান, যৌন সম্পর্ক তৈরিতে আপত্তি করায় সে খুন করেছে অঙ্কিতাকে।
যদিও ওই ফ্ল্যাটে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। কাজেই কখন অঙ্কিতা এসেছিলেন, কখন খুন করে সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। ওই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার কিশোর খেরনার জানিয়েছেন, অঙ্কিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকাররীদের অনুমান, হরিদাসের সঙ্গে দেখা করতে আসার বিষয়টি অঙ্কিতার পরিবার জানত না।
সুত্রঃ আনন্দবাজার