নগরীতে পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে আহতের ঘটনায় আরো দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এই নিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে একজন এবং পরে দু’জনসহ মোট মোট তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ পাঁচলাইশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আব্দুল ওয়ারিশ খান জানিয়েছেন, রাকিব ও প্রত্যয় নামের সন্দেহভাজন দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এর আগে শুক্রবার ঘটনার পর আব্দুল হাকিম (১৯) নামে এক তরুণকে আটক করে পুলিশ। আব্দুল হাকিম (১৯)-এর দেয়া তথ্য থেকে এই দু’জনকে আটক করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ নয়াদিগন্তকে জানান, হামলাকারীরা পাঁচজন ছিলেন। সবার বয়স ১৮ থেকে ১৯। পলাতক আরো দু’জনকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, হামলাকারীরা উঠতি কিশোর অপরাধী। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে নগরীর দুই নম্বার গেইট এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশ দুটি মোটর সাইকেলকে থামার সংকেত দিলে তারা গুলি করে মোটর সাইকেল ফেলেই পালিয়ে যায়। এসময় তাদের গুলিতে কর্তব্যরত পাঁচলাইশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক হাটুঁর উপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।