জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ‘মিলেমিশে’ অবৈধভাবে বালু তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও তাঁদের কাছের লোক, তেমনি রয়েছেন বিএনপি ও যুবদলের নেতা।
এভাবে বালু তোলার কারণে ১৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ হুমকির মুখে পড়েছে। যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় এবং এ বালু কিনতে আসা ট্রাক্টরের চলাচলের কারণে রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম ও মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম একসঙ্গে উলিয়া পুরোনো গ্রামীণ ব্যাংকের পাশ থেকে বালু তুলছেন। একই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছে বালু তোলেন আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মো. রুহুল আমিন। উলিয়া এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে বালু তুলছেন নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুরবান আলী।
এলাকার কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাতে বালু তুলছেন এসব লোক। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালু তোলার কারণে প্রতিবছর নদীভাঙন ও বন্যায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।