আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লতিফুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে মোটরসাইকেলে বের হয়ে যাওয়ার সময়ে সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের পূর্বপাশে তাঁকে প্রথমে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে লতিফুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁর মাথায় ও বুকে গুলির দাগ রয়েছে। এ ছাড়া মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন দেখা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃত অবস্থায় ১২টা ১০ মিনিটে চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমানকে হাসপাতালে আনা হয়।’
নিহত চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন একই পরিষদের সদস্য বুলু কাজী। তিনি বলেন, ওই মোড়ে মোটরসাইকেলের গতি কম ছিল। প্রথমে দুজন যুবক তাঁকে গুলি করে। এরপর অন্তত পাঁচজন তাঁকে কোপাতে থাকে। গুলি হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আমি দৌড়ে সরে যাই।
পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা যে বা যারাই ঘটাক না কেন, কেউ পার পাবে না। সবাইকে ধরা হবে।