এসএসসি ও এইচএসসিসহ সকল প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনুন নাহার সিদ্দিকাসহ তিন আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করা হয়েছে। আইনুন নাহার নিজেই আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
প্রশ্নফাঁস রোধের ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর তিনদিন আগে থেকে শুরু করে সব পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে যদি আসল প্রশ্নপত্র মিলে যায় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলেও জানায় শিক্ষামন্ত্রণালয়।
এরইমধ্যে পরীক্ষা শুরুর পর প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নই ফেসবুকে ফাঁস হয়ে যায় বলে গণমাধ্যমগুলোতে খবর রয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় তা মানতে নারাজ। প্রশ্নফাঁস রোধে ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে সেখান থেকে আবার পিছু হটে সরকার।