কিন্তু কে এই মিজান? আর কেনইবা সে কারাগারে? মিজান, কানাইঘাট উপজেলার বাণীগ্রাম ইউপির নিজ ভাউরভাগ গ্রামের নুর উদ্দিনের পুত্র।
গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার পর পরই স্থানীয় গাছবাড়ী বাজারে বিএনপি সর্মথিত শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ৩ জনকে আটক করে। পরে অন্য একটি মামলার আসামী দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এর মধ্যে পাগল মিজানও রয়েছে। সে স্থানীয়দের কাছে পাগল মিজান নামে পরিচিত।
মিজান পাগল হলে কি হবে, তার কন্ঠে রয়েছে মাধুর্য্য ও সেই সাথে তেজস্রী বলিষ্ট কন্ঠস্বর। ফলে তার আবোল তাবোল কথাবার্তাও মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়। সিলেটের যে কোন জায়গায় মিছিল মিটিংয়ের খবর পেলেই পাগল মিজান আগেভাগেই হাজির। হাট বাজারে কিংবা তেলের ড্রামের উপর উঠে মিজানের আবোল তাবোল অগ্নিঝরা বক্তব্যে যে কোন পথিকের মন সহজে কেড়ে নেয়।
ঠিক একই ভাবে গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার পর পরই স্থানীয় গাছবাড়ী বাজারে বিএনপি সর্মথিত শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল বের করলে মিজানও যোগ দেয় সেই মিছিলে। আর মিছিল থেকেই আরো দুই মিছিলকারীর সাথে গ্রেফতার হয় মিজান। মিজানের গ্রেফতার হওয়ায় ইউ/পিবাসীরা হয়েছেন অবাক।
সিলেটের বিভিন্ন হাট বাজারে মিজানের গান ও বক্তব্য শুনে উৎসুক লোকজন দু-চার টাকা দিয়ে থাকেন। তার গ্রেফতারের কথা প্রথমে কেউ কল্পনা না করলেও দিনে দিনে এলাকার মানুষের মুখে মুখে রটে গেছে পাগল মিজানের কথা।
সিলেট বিএনপি পরিবারের প্রায় সবার কাছে পাগল মিজানের কম বেশী পরিচিতি রয়েছে। যার করনে ইচ্ছে করে অনেকেই মিজানকে জেলখানায় দেখতে ছুটে যাচ্ছেন। সোমবার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার সহ কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে দেখতে যান। এ সময় তাদের উদ্যেশ্য করে সে বলছে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। আমি নেতা হয়েছি, আমার জন্য জেল হবেই।
একজন পাগলের এমন প্রলোপ শুনে তাদের অনেকের চোখে জল চলে আসে বলে তারা জানায়। তারা কতৃপক্ষের কাছে পাগল মিজান সহ সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন।
কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, জেলখানায় কেমন আছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মিজান? এমন প্রশ্নে ঘোরপাক খাচ্ছে এলাকা জুড়ে। গ্রেফতারের ৫দিন অতিবাহিত হলেও মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী মিজান এখনো ছাড়া পায়নি। আর কবে ছাড়া পাবে তা নিয়েও শঙ্কায় ইউনিয়নবাসী।