শনিবার বিকেল। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার। অকস্মাৎ সেখানে দলে দলে নেমে এলেন পুরোদস্তুর নগ্ন নারী-পুরুষ। তাদের গায়ে-গতরে কোথাও কোনো পোশাকের লেশমাত্র নেই। তবে তারা স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে নানা রঙের পেইন্ট দিয়ে রঙিন করে তুলেছেন। তাতে কি! পোশাকের কাজ তো আর পেইন্ট করতে পারে না সর্বক্ষেত্রে।
ফলে যা হবার তাই। পেইন্টের ভিতর দিয়ে স্পষ্ট হয়ে রইল স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো। আর তা দেখে ভিড় জমালেন আশপাশের মানুষ। মুহুর্মূহু ক্যামেরায় ফ্লাশ জ্বল। বন্দি হয়ে গেলেন তারা ইতিহাসের পাতায়। দুর্দান্ত সাহসী একদল মডেল এই কা- ঘটিয়েছেন নিউ ইয়র্কে। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘পোলার বিয়ার পেইন্ট’। তাদের এ উদ্যোগের আয়োজক হলো হিউম্যান কানেকশন আর্টস নামের একটি গ্রুপ। এ দলে অংশ নিলেন প্রায় ২৫ জন মডেল। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে তখন প্রচ- ঠা-া। তার মধ্যে হচ্ছিল বৃষ্টি। তবে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তারা নেমে পড়লেন রাস্তায়। খুলে ফেললেন শরীরে পোশাক নামের ‘আবর্জনা’কে। একজন আরেকজনের শরীর পেইন্টে রাঙিয়ে তুলতে লাগলেন। এক নগ্ন নারী আরেক নগ্ন পুরুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে পেইন্ট করে দিতে থাকেন। উল্টো ঘটনাও ঘটে। এরপর তারা দলবেঁধে পোজ দিলেন ছবি তোলার জন্য। এ সময় সবার মুখে হাসি ঝরে পড়ছিল। কেউ বা অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে নাচছিলেন। ছুটছিলেন এখান থেকে ওখানে। তাদের চলাফেরা দেখে মনে হচ্ছিল আর বুঝি থামবেন না তারা। নিউ ইয়র্কে এবার প্রথমবারের মতো হিমাঙ্কের কাছে তাপমাত্রায় এভাবে নগ্ন হয়ে পথে নামলেন মডেলরা। তবে আয়োজকরা এমন ইভেন্ট বছরে অনেকবার আয়োজন করে থাকে। গ্রীষ্মের সময় এরকম অনুষ্ঠানে অংশ নেন কয়েক শত মডেল। সুনির্দিষ্ট আর্টিস্টিক প্রডাকশনের জন্য পূর্ণ শরীর নগ্ন করে প্রদর্শন স্থানীয়ভাবে অনুমোদিত। তবে এতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবার বয় হতে হয় ১৮ বছরের ওপরে। স্বেচ্ছায় অংশ নিতে হয়। এর বিনিময়ে স্টুডিও ভাড়া, শরীরে পেইন্ট লাগাতে ও নিরাপত্তার জন্য প্রতিজন অংশগ্রহণকারীর শোধ করতে হয় ৩০ ডলার।