খিলগাঁও থানার এএসআই মজনুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বাংলার আদালত

image_158808.policeমারধর করে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানার এএসআই মজনুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই এলাকায় বসবাসকারী পিকআপ চালক মো. সোলায়মান শেখ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ সেখের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোরশেদ হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- খিলগাঁও থানার কনস্টেবল রবিউল ও অঞ্জন আনছার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মো. সোলায়মান শেখ ওএমএস ডিলার শফিউল্লাহর পিকআপ চালক। গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায় সিপাহীবাগের মেরাদিয়ায় ওএমএস’র চাল গাড়িতে তোলার সময় টহলরত পুলিশের এএসআই মজনুর নেতৃত্বে ও নির্দেশে কনস্টেবল রবিউল ও অঞ্জন সোলায়মান শেখ ও অপর পিকআপের চালক আমিনকে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করতে শুরু করে।
এসময় মো. সোলায়মান শেখ তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে এএসআই মজনু বাধা দেন। তারা চালসহ ট্রাক থানায় নেয়ার চেষ্টা করে। লোক মারফত খবর পেয়ে ওএমএস ডিলার শফিউল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে চালের বৈধতার কাগজপত্র দেখান। তখন পুলিশের ওই সদস্যরা সোলায়মান শেখ ও চালবাহী ট্রাক থানায় নেয়া থেকে বিরত থাকে।
তবে চালের মালিক ঘটনাস্থলে আসার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সোলায়মানে শেখের মোবাইল ও তার পকেটে থাকা ৬ হাজার তিনশত টাকা নিয়ে যায় পুলিশের এ সদস্যরা। পরে অবশ্য মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলেও টাকা ফেরত দেয়নি।
এ ঘটনায় সোলায়মান শেখ খিলগাঁও থানায় মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা নেয়নি। পরে তিনি গত ৮ মে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুন ও ১৪ জুন মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। পরে তিনি ওই দুই দিন ওখানে সাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এরপর একই বিষয়ে গত ৮ জুলাই ও ১৪ জুলাই ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়েও সাক্ষীসহ তার জবানবন্দি প্রদান করেন সোলায়মান শেখ।
ওইসব তদন্তের কোনো ফলাফল জানতে না পেরে তিনি গত ৮ অক্টোবর আবারও স্বরাষ্ট্র সচিবের বরাবরে আরেকটি দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু কোনো ধরনের অগ্রগতি জানতে না পেরে তিনি আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তাকে (বাদী) বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে জেলের ভাত খাওয়ানো ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে বাদী মামলায় অভিযোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *