ঢাকা: ‘আমি ফিরবো, কান্নার দরকার নেই।’ আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়ার আগে অশ্রুসজল আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকদের এই বার্তাই দিলেন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নিজের স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে গঠিত এতিম তহবিলের প্রায় আড়াই লাখ ডলার তছরুফ করার অভিযোগে ৭২ বছর বয়সী তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এক খবরে জানিয়েছে, রায় শুনতে আদালতে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া নামাজ আদায় করেন। কান্নারত আত্মীয় স্বজনদের স্বান্তনা দেন।
গুলশানে অবস্থিত নিজের বাড়ি ফিরোজা ত্যাগ করার সময় খালেদার অনেক স্বজনই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় খালেদা বলেন, ‘কান্নার প্রয়োজন নেই।
আমি ঠিক থাকবো। তোমরা সবাই অপেক্ষা করো। আমি ফিরবো। চিন্তা করো না। শক্ত থাকো।’
আদালতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার বড় বোন, ভাবি, ছোট ভাই, ভাতুষ্পুত্র ও কন্যা এবং তার আইনজীবীরা। খালেদার পাশাপাশি একই মামলায় তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। তিনি বর্তমানে লন্ডনে আছেন। একই সাজা দেওয়া হয়েছে খালেদার সাবেক চার সহযোগীকে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই লিখেছে, দ-িত হওয়ায়, রোববার পর্যন্ত কমপক্ষে তিনদিন জেলে থাকতে হবে খালেদা জিয়াকে। আজই যদি আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড পেতেন খালেদার আইনজীবীরা, তবুও তারা উচ্চ আদালতে আপিল করার সময় পেতেন না। রোববার পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। উচ্চ আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে খালেদাকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে।
তবে আরও বড় প্রশ্ন হলো, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা খালেদা। এই রায়ের ফলে খালেদাকে ওই নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হতে পারে। বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী দুই বছরের কারাদ-ে দ-িত হলেই, পরবর্তী ৫ বছর কেউ নির্বাচন করতে পারেন না। খালেদার মামলায় উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিলেও, যদি রায় বহাল রাখে, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য ঘোষিত হবেন তিনি।
তবে আরও বড় প্রশ্ন হলো, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা খালেদা। এই রায়ের ফলে খালেদাকে ওই নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হতে পারে। বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী দুই বছরের কারাদ-ে দ-িত হলেই, পরবর্তী ৫ বছর কেউ নির্বাচন করতে পারেন না। খালেদার মামলায় উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিলেও, যদি রায় বহাল রাখে, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য ঘোষিত হবেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবার নির্বাচনে অংশ না নিলেও, এবার অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। রায় ঘোষণার একদিন আগে তিনি নিজ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি বলেন, এবার বিরোধী দল বিহীন মাঠে কাউকে গোল দিতে দেওয়া হবে না।