নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ উপজেলার হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে খালেদার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সুমন (৩০)। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং ওয়ার্ডে নেতা। এসময় সাংবাদিক, পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবী করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফারুক হোসেন বলেন, অধিপত্য বিস্তারের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জে করে মাঠ দখল নেওয়ার জন্য দুই পক্ষের লোকজন কাঞ্চন সেতু এলাকায় অবস্থান নেয়া নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধীক রাউন্ড টিয়ারসেল ও গুলি বর্ষণ করে। এসময় গুলিতে সুমন মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
অপরদিকে কিছু দুরে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকেই উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিতে থাকে। এছাড়া এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধীক টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে। এতে সাংবাদিক পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক আহাম্মেদ জানান, আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। আহত সুমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে।