ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় আজ ঘোষণায় প্রস্তুত আদালত। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণার কথা।
আদালতের ভেতর খালেদা জিয়ার বসার জন্য একটি চেয়ার ও সামনে দুটি ছোট টেবিল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী হাজির হয়েছেন।
কারাগারে থাকা মামলার আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামালকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। বকশীবাজার মোড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চানখাঁরপুল মোড়ে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। বকশীবাজারের আশপাশে রাস্তাতেও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
রায়কে সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আজ ঢাকায় মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। ঢাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচলও অনেক কম দেখা যাচ্ছে।
প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন, তার ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে এবং সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে।
প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম চলেছে। এরমধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, এবং ১৬ দিন ধরে যুক্তিতর্ক চলেছে।