রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার্থী আমিনা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হল না আর।
গতকাল বুধবার সকালে সিএনজি যোগে নাগমুদ বাজার কেআই ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আসার পথে ট্রলির ধাক্কায় আমিনা আক্তার সহ সালমা আক্তার, রেদোয়ান হোসেন, মেহেরাব হাবিব নামের চার দাখিল পরীক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়। এতে আমিনার ডান চোখ রক্তাক্ত জখমসহ ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত তিনজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারলেও রামগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আমিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ও রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আহতদের খোজ খবর নেন।
নাগমুদ বাজার কেআই ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব জানান, নির্ধারিত সিএনজি যোগে ওই চার পরীক্ষার্থী বুধবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সকাল ৯ টায় আশারকোটা থেকে রওয়ানা দেয়। একপর্যায়ে তারা টিওরী মোড়ে এলে বিপরীত থেকে আসা ট্রলি তাদের সিএনজিকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন ছোটে এসে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে আমিনাকে রামগঞ্জ আধুনিক হাসপাতাল এবং বাকীদের স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্দ জনতা ট্রলি চালককে ধৃত করে গনপিটুনী দেয়।
সৃষ্ট ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। আহত আমিনা আক্তার উপজেলার আশারকোটা গ্রামের আলার বাড়ির আনোয়ার হোসেন, সালমা আক্তার একই গ্রামের নোয়াবাড়ির আবুল বারাকাত, রেদোয়ান হোসেন আলার বাড়ির কামাল পাসা এবং মেহেরাব হাবিব জয়দেবপুর পোদ্দার বাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে।