মো: আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ; উত্তরা প্রতিনিধি :
রাজধানীর তুরাগে আবারো গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিত গার্মেন্টস কর্মী নিজেই এসে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। এসময় ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয় তুরাগের ভাটুলিয়া এলাকার মৃত মারফত আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামকে(২০)।
পুলিশ জানায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি তুরাগে কামারপাড়া এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী (১৭)। সে স্থানীয় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় চাকরি করতো। মেয়েটি অভিযোগ তার প্রেমিক জাহিদুল (২০) ওইদিন তুরাগে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় তাকে। পরবর্তীতে সেখানে ওত পেতে থাকা জাহিদুল এর বন্ধু সানজিদ (২০) ও আশিক (২০) সহ পালাক্রমে একের পর এক ধর্ষণ করে মেয়েটিকে।
পরে মেয়েটি এ ঘটনায় রবিবার রাতে তুরাগ থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং ০৯,০৪.০২.২০১৮।
তুরাগ থানার তদন্ত অফিসার ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জনান, ধর্ষণের অভিযোগে এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে একজনকে। অভিযুক্ত আরো দুজনকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ভিকটিমকে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।