মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সহিংসতার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সেখানের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। আজও প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু আরকান রাজ্য থেকে পালিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোটে চড়ে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া ঢুকেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বুছিডং থানার ছিন্দিপ্রাং, ছিংদং, উলাফে, আলিশাং, পুঁইমালি, সামিলা পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পালিয়ে আসা ওলাফে গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফায়সাল (২০) জানান, প্রতি মুহূর্ত আতঙ্ক আর অর্ধহারে অনাহারে ঘরে বসে থাকতে হয়। মাঝে মধ্যে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভয়ভীতি দেখায়। পুরুষদের ধরে নিয়ে সেনাদের ব্যারাকে বিনা বেতনে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে।
আরফা বেগম (৩৫) জানায়, ধংখালী পয়েন্টে এখনো ৫/৬ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ এপারে আসতে অপেক্ষামান রয়েছে। অর্থ ও বোট সংকটের কারণে তারা এপারে আসতে পারছে না।
এদিকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ টেকনাফ পৌর স্টেশনের আবু ছিদ্দিক মাকের্টে এসে জড়ো হয়। সেখানে পুলিশের বিশেষ টহল দলের সদস্যরা তাদের তালিকাভূক্ত করে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়। কিছু রোহিঙ্গা নিজেরাই আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় বিভিন্ন ক্যাম্পে চলে যায়।
এ ব্যাপারে দায়িত্বরত এএসআই আমিনুর জানান, দুপুর পর্যন্ত ৫৩ জন রোহিঙ্গাকে এখান থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।