ছয় শর্ত বাস্তবায়নযোগ্য নয়: তোফায়েল

Slider রাজনীতি

bac6e61d16055a243568047001577d98-59a5002b345fd

 

 

 

 

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংলাপ কিংবা আলোচনার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া ছয় শর্ত  বাস্তবায়নযোগ্য নয়।

আজ রোববার বিকেলে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর নির্বাচনের বছর। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন দেবে। আমাদের মেয়াদ আছে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন হবে। একটি রাজনৈতিক দল ছয়টি শর্ত দিয়েছে। এই শর্ত বাস্তবায়নযোগ্য নয়। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট-বড় করতে পারেন। এই সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবে নির্বাচন কমিশন। সুতরাং সংলাপ কিংবা আলোচনার প্রয়োজন নেই। সংবিধানের বাইরে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী আনোয়ারা আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য লায়লা আঞ্জুমান বানু, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।

বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছিল একটি রাজনৈতিক দল। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল। পুলিশ হত্যা করেছিল। মায়ের কোলের নিষ্পাপ শিশুকে পেট্রলবোমা মেরে করেছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে খুন করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। ২০১৫ সালে ৯৩ দিন হরতাল অবরোধের নামে অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয়, সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ সৃষ্টি করেনি।’

৩৫ দিনের বাণিজ্য মেলা আজ শেষ হচ্ছে। তবে গতবারের চেয়ে এবারের মেলায় রপ্তানি আদেশ ও পণ্য বিক্রি দুটিই কমেছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের মেলায় ১ কোট ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছে। আর ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার পণ্য নগদে বিক্রি হয়েছে। গত বছরের মেলায় ২৪৩ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এবং ১১৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। গতবারের চেয়ে রপ্তানি আদেশ কম পাওয়া গেলেও আয়োজকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, এবার ৮৭ লাখ ডলার বা ৭১ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ বেশি এসেছে।

বাণিজ্যমেলা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অন্যবারের চেয়ে এবারের মেলা জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে। লাখ লাখ লোক মেলায় এসে কেনাকাটা করেছে। ইপিবির অনেক টাকা লাভ হবে। তিনি আরও বলেন, ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে ৩৫ একর জায়গায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের মেলা হবে। আশা করছি, ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘উন্নয়নের জোয়ার উপভোগ করছে বাংলাদেশ। আমরা ব্যবসায়ীরা কোনো অস্থিরতা দেখতে চাই না। কোনো এসআরও (প্রজ্ঞাপন) দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস নষ্ট হোক, সেটিও চাই না।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় অংশে নেওয়া ৪৪টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

এদিকে মেলার শেষ দিনে আজ ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে গতকাল দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়নে পণ্য নেই, খালি। বিভিন্ন পণ্য নিয়ে মেলার ভেতরের সড়কজুড়ে বসে পড়েছে হকার। কিছু প্রতিষ্ঠান পণ্য গোছাতে শুরু করেছে। তারপরও বিকেল থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল বাড়তে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *