স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে অবৈধভাবে আনা ৪ হাজার ১৩০ দশমিক ৪২৫ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ওই স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থায়ীভাবে জমা করা হয়। পরবর্তীতে এসব স্বর্ণ সংশ্লিষ্ট আটকের বিপরীতে দায়েরকৃত মামলা নিষ্পত্তি সাপেক্ষে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়।
তিনি বলেন, আটককৃত স্বর্ণের মধ্যে ঢাকা কাস্টম হাউস ১ হাজার ৬৬৮ দশমিক ৫৬ কেজি স্বর্ণ, ঢাকা কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ১ হাজার ৭৪৮ দশমিক ৮৩২ কেজি স্বর্ণ, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ৬৬৬ দশমিক ৯২৯ কেজি স্বর্ণ, সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ১৬ দশমিক ১১ কেজি স্বর্ণ, চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ২৩ দশমিক ২২০ কেজি স্বর্ণ, রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ৬ দশমিক ২৬৬ কেজি স্বর্ণ এবং বেনাপোল কাস্টমস হাউস দশমিক ৫০৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত মেয়াদে ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত এবং চলমান মেয়াদের ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে আনা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার ও বিভিন্ন রকম স্বর্ণের অলঙ্কার আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের থানাসমূহে রুজুকৃত মামলার হিসাব অনুযায়ী আটককৃত এ সব স্বর্ণের ওজন প্রায় ১ হাজার ৭১৮ কেজি ৬২ গ্রাম।
আসাদুজ্জামান বলেন, আটককৃত এ সব স্বর্ণ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট, কোর্ট মালখানা, জেলা প্রশাসনের ট্রেজারী, কাস্টমস গুদাম এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদালতের আদেশে মালিকের জিম্মায় রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্বর্ণ অনুপ্রবেশ রোধে সরকারের দিক-নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিজিবি’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আটককৃত স্বর্ণ ২০৩ দশমিক ৭৫৬ কেজি থানা-কাষ্টমস অফিসে জমা করা হয়েছে।