জাবির ইন্টারনেট সেবা বিভাগের দুই শিক্ষকদের পদত্যাগ

শিক্ষা

Jabi-1417622032‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা’র অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইন্টারনেট সেবা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুইজন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আমজাদ হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগকারী শিক্ষকেরা হলেন- ইন্টারনেট সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. এমদাদুল ইসলাম এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইন্টারনেট সেবা বিভাগের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

পৃথক পদত্যাগপত্রে শিক্ষকেরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সার্ভিস সচল রাখার জন্য যে ধরনের আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা দরকার তা প্রশাসনের কাছ থেকে সঠিকভাবে না পাওয়ায় বর্তমানে এই সার্ভিস অব্যাহত রাখা দুরূহ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময়ে এই সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় তাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

পদত্যাগকারী অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বরাদ্দে যে অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ বরাদ্দ নেই। প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা সমাধান দিতে পারেন না। ফলে এ পদে থাকার যৌক্তিকতা নেই।

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের কথা অনুযায়ী তারা বার্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ এবং আয়ের খাত উল্লেখ করে পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেননি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সানোয়ার হোসেন জানান, উপাচার্য মহোদয় শিক্ষক নিয়োগ সিলেকশন বোর্ডের মিটিংয়ে আছেন।

গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বরাদ্দে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও নতুন যন্ত্র স্থাপন করে প্রতিটি বিভাগে নতুন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান এবং বিদ্যমান সেবার মান বাড়ানো হয়। কিন্তু ক্রমাগত ইন্টারনেট সেবার মান আবারও অবনতি হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।

ইন্টারনেট সেবা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাইমুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, কোনো যন্ত্র নষ্ট হলে সেটা প্রতিস্থাপনের জন্য বরাদ্দ নেই। মাত্র দুইজন কর্মকর্তা পুরো ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট সংযোগ দেখভালের জন্য কাজ করছেন। ফলে চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *