মেহরাব হোসেন অপি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম অর্ধশতকটিও তিনি হাঁকিয়েছেন। ২০০৩ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর ক্লাবের হয়ে লিগে খেলেছেন।
২০০৮ সালে সবশেষ তিনি লিগে পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। এরপর গেল ছয় বছরে আর ব্যাট হাতে মাঠে নেমে খেলা হয়নি তার। হঠাৎ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অষ্টম রাউন্ডে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। খেলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন অপি। মোহামেডান দলীয় ২ রানে প্রথম ও ১০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। দলীয় ১১ রানের মাথায় সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনি অবশ্য মাত্র ৩ রান করেন।
তবে অপি রান না পেলেও ১৮৫ রান করে ৮ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে মোহামেডান। আর এমন জয়ে দারুণ খুশি বর্ষীয়ান এই তারকা, ‘আসলে মাঠে ফিরতে পারাটা আমার জন্যে ঈদ আনন্দের মতো, ঈদের মতোই খুশি লাগছে, তার উপর জয় পেয়েছে দল। সব মিলিয়ে খুশি।’
দীর্ঘ আট বছর পর হঠাৎ মাঠে নামার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আসলে মোহামেডানের প্রতি দুর্বলতা আমার ছোটবেলা থেকেই ছিল। আমার চাচা আজহার হোসেন শান্টু যখন খেলতেন তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম এই দলটির হয়ে খেলার। আগেও খেলেছি। এরপর ম্যানেজার ওয়াসিম ভাই যখন বললেন, তখন আমিও ভাবলাম খেলা যায়, এখন আমি পুরো লিগেই খেলতে চাই।’
মেহরাব হোসেন অপি ৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২৪১ রান করেন। টেস্টে তার একটি অর্ধশতক রয়েছে। ১৮ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৪৪৯ রান। ওয়ানডেতে তার ১টি শতক ও দুটি অর্ধশতক রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ৬০ ম্যাচে করেছেন ২ হাজার ৮৩৮ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তিনি পাঁচটি শতক ও ১৩টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।