চুক্তি স্বাক্ষর শেষে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য আনন্দের দিন। কারণ, বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে। মোটা চাল রপ্তানির প্রেক্ষিত বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে চাল আমদানির প্রস্তাব দেয়। তারই আলোকে আমার চাল রপ্তানিতে সম্মত হই।
মন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানির কথা থাকলেও আপাতত ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা হচ্ছে। কারণ, শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এজন্য তারা এতো চাল একসঙ্গে নিতে পারছে না। তাই আপাতত ২৫ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানি করা হচ্ছে। পরে সুবিধামতো সময়ে বাকি ২৫ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানি করা হবে।
যেকোনো সময়ে যেকোনো বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের এক লাখ টন চাল রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী কামরুল। এরআগে গত ২৭ অক্টোবর মন্ত্রী বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এ ধরনের প্রতিটন চাল ৪০০-৪২০ ডলারে বিক্রি হয়। কিন্তু আমাদের সরকার ৪৫০ ডলার দরে বিক্রি করছে, যা অত্যন্ত লাভজনক।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানির চুক্তি সই
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২৫ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল রপ্তানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রতি টন চালের দাম রাখা হচ্ছে ৪৫০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সারওয়ার খান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে স্বাক্ষর করেন লঙ্কা শাতোসা লিমিটেডের চেয়াররম্যান নালিন ফার্নান্দো।